Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st নভেম্বর ২০২০

এক নজরে প্রকল্প

এক নজরে NAAND

 

অটিজম এটি মূলত একটি স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা। এ সমস্যার কারণে শিশুরা সামাজিক যোগাযোগে অক্ষম হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে দেশে প্রতি হাজারে ১.৫৫ জন শিশু অটিজমে আক্রান্ত। এমন বাস্তবতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা অটিজম বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ জনাব সায়মা ওয়াজেদ  এর প্রেরণা ও দিকনির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রণলায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর  জানুয়ারী, ২০১৪ থেকে ‘অটিস্টিক একাডেমি স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন আরম্ভ করে। পরবর্তীতে জনাব সায়মা ওয়াজেদ এর নির্দেশনায় প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে “ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ‍ডিজএ্যাবিলিটিজ (NAAND) করা হয় এবং এর  মেয়াদ ২০23 পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

 

প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন একটি জাতীয় অটিজম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা।  এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে অটিজম ও স্নায়ুবিকাশজনিত প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের একীভূত ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা ; প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক ও অভিভাবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা; এবং দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করা হবে। বর্তমান প্রকল্পের কতগুলো উপাদানকল্প রয়েছে। যেমন; একটি আন্তর্জাতিক মানের জাতীয় অটিজম একাডেমি নির্মাণ। এর জন্য ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে ৩.৩ একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে।  একাডেমিতে থাকবে-

  • ১৫ তলা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন   
  • কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১০ তলা আবাসিক ভবন
  • ৬ তলা বিশিষ্ট পৃথক ছাত্র হোস্টেল ও ছাত্রী হোস্টেল
  • আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম; এবং
  • বিশেষায়িত সুইমিংপুল ও খেলার মাঠ,  

 

প্রস্তাবিত একাডেমিতে আবাসিক শিক্ষার পাশাপাশি অটিজম ও এনডিডি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সেবা ও ইউনিট পরিচালিত হবে, যেমন : কারিগরি, বৃত্তিমূলক, আইটি ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ। বহিঃবিভাগে শিক্ষাগত সমস্যা শনাক্তকরণ, এ্যাসেসমেন্ট, মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা ও শিশুদের কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করা হবে এবং  মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য একাডেমিতে একটি স্বতন্ত্র শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইউনিট থাকবে। 

 

প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ  উপাদানকল্প হলো মাস্টার ট্রেইনার প্রশিক্ষণ এবং প্রধান শিক্ষক-সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অটিজম ও এনডিডি শিশুর অভিভাবকদের জন্য ৫ দিনব্যপী প্রশিক্ষণ। এছাড়াও NAAND প্রকল্পের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ, বিভাগীয় সেমিনার, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুক্ত আলোচনা এবং প্রতিবছর ব্লু লাইট প্রজ্জলনের মাধ্যমে ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন।

  

প্রকল্পের ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধনের মাধ্যমে স্থায়ী একাডেমি চালু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে একটি অস্থায়ী একাডেমির মাধ্যমে  অটিজম ও এনডিডি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত সেবা, বিকল্প দক্ষতা তৈরীর ব্যবস্থা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একীভূত শিক্ষার প্রায়োগিক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা সম্পর্কিত গবেষণা সেল পরিচালনা করা হবে। এই একাডেমি  দেশে ও বিদেশে অটিজম ও এনডিডি বিষয়ে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি জাতীয় প্লাটফর্ম তৈরি করবে যা ­­­ SDG - ৪ অর্জনে সহায়ক হবে এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।